Author: আমির হামজা

মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ।। এদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন বহু বহু বছর থেকেই। তখন তা সীমিত থাকত ঢাকেশ্বরী মন্দির ও নির্দিষ্ট কিছু মন্দীর-মণ্ডপ পর্যন্ত। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের একান্ত ধর্মীয় বিষয় বলে মুসলমানরা সেখানে যেত না। সরকারী-বেসরকারী মুসলিম নেতাদের উপস্থিতিও ছিল কম। কিন্তু বিগত কয়েক বছর থেকে যেভাবে পূজো উদযাপন হচ্ছে এবং সর্বপ্রকারের মিডিয়ায় যেভাবে এর প্রচার-প্রচারণা হচ্ছে তা সম্পূর্ণই ভিন্ন। এখন বহু মুসলমানও যায় পূজা দেখতে, কেউবা আনন্দ উপভোগ করতে। আর বেশি যান নেতা-নেত্রীরা। ছোট থেকে সর্বোচ্চ স্তরের নেতা-নেত্রীগণও যান। অথচ কয়েক বছর আগেও দৃশ্যপট এমন ছিল না। আসল কথা হল, পূজা যাদের, তারা সেটা…

Read More

মাওলানা হাসীবুর রহমান ​ আল্লাহ তাআলার অশেষ শুকরিয়া। তিনি মুসলমানকে ইসলামের মতো পূর্ণাঙ্গ দ্বীন দান করেছেন। নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত আদায় করার পথ ও পন্থা যেমন বলে দিয়েছেন তেমনি লেনদেন, আচার-আচরণ, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন কেমন হবে তাও জানিয়ে দিয়েছেন। বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবন ও পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়। ইসলামী শরীয়তে এই সম্পর্ক কায়েম করতে হলে যেমন সুনির্ধারিত কিছু বিধান রয়েছে তেমনি প্রয়োজনে এই সম্পর্ক ছিন্ন করতে হলেও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। কুরআন-হাদীসে সেগুলো অনুসরণ করারও জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যদি সেই বিধানগুলো মান্য না করা হয় তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করা হবে, যা একটি মারাত্মক গুনাহ। সাথে সাথে…

Read More

মাওলানা ইমদাদুল্লাহ বিন আশরাফ আলী।। আমাদের মা-বোনেরা বিয়ে, ঈদ, অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন উপলক্ষে হাতে পায়ে মেহেদি ব্যবহার করে থাকেন। ছোটবেলায় গ্রামে দেখেছি, ঈদের রাতে আশপাশের বাড়িঘরের মহিলারা একত্রিত হয়ে শিলপাটায় মেহেদি পাতা পিষে দলবদ্ধভাবে মহানন্দে হাতে পায়ে মেহেদি মাখায়। বিয়ে ও ঈদ উপলক্ষে মহিলারা এভাবেই বিপুল আনন্দ ও উৎসাহের সাথে মেহেদি লাগায়। মূলত নারীদের জন্য মেহেদি ব্যবহারে কোনোরূপ বিধিনিষেধ নেই। ইসলাম বরং নারীদের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য মেহেদি ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করেছে। এজন্য নারী সাহাবীগণের মেহেদি ব্যবহারের বর্ণনা হাদীসে প্রচুর পাওয়া যায়। তাই নারীদের জন্য মেহেদি ব্যবহার করা মুস্তাহাব ও উত্তম। এক হাদীসে এসেছে, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা রাযি. থেকে…

Read More

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমইয়াকানাবুদু ওয়া ইয়া কানাসতায়ীন মি. প্রেসিডেন্ট। সম্মানিত সেক্রেটারি। ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ।আজ আমি বিশ্ব নেতাদের এই ফোরামে আমার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে সম্মানিত বোধ করছি যেখানে আমাদের বিশ্বের সমস্যাসমূহ আলোচনার সুযোগ রয়েছে।আমি অনেক সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চাই, তবে আজ শুধু চারটি নিয়ে আলোচনা করি এবং বিশেষকরে আমার দেশ কঠিন সময় ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সত্ত্বেও আমি এই ফোরামে এসেছি । আমি হয়তো আসতামনা কিন্তু খুবই জরুরী সমস্যাগুলো বিশ্ববাসীর অবশ্যই জানা প্রয়োজন। প্রথমেই আমি শুরু করতে চাই জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে। অনেক নেতা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন, কিন্তু মি. প্রেসিডেন্ট আমি তারা প্রকৃতপক্ষে বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করছেন না। অনেক বিশ্বনেতা…

Read More

মাওলানা ইমদাদুল্লাহ বিন আশরাফ আলী।। অনেক দম্পতি বিয়ের পর বাচ্চা নিতে দেরি করে থাকেন। বয়সের স্বল্পতা ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছাড়াও অনেকে একবছর, দুইবছর এমনকি তিন-চার বছরও বাচ্চা নেন না। নিজেদের ক্যারিয়ার, পড়াশোনা, দাম্পত্য জীবন গুছিয়ে নেওয়া ইত্যাদি হিসাব-নিকাশ করে তারা সন্তান নিতে চান। এক্ষেত্রে অনেকের জিজ্ঞাসা হলো, ওজর ছাড়া এভাবে বাচ্চা নিতে দেরি করা কি বৈধ? সন্তান জন্মদান মূলত একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বপূর্ণ কাজ। বিশেষত নারীদের ক্ষেত্রে তা রীতিমত একটি চ্যালেঞ্জ। বিয়ের মাধ্যমে একজন নারী সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জগতে প্রবেশ করে। নতুন এই পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে একটু সময় লাগে। তার আগেই যদি তাকে নতুন আরেক পরিবেশে প্রবেশের…

Read More

মাওলানা ইমদাদুল্লাহ বিন আশরাফ আলী।। সাধারণ মানুষের কাছে আশুরার দিনের প্রসিদ্ধ একটি আমল হলো পরিবারের লোকদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা। এ সম্পর্কে একটি হাদীসও লোকমুখে প্রসিদ্ধ রয়েছে। হযরত জাবির রাযি. থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- مَنْ وَسَّعَ عَلَى عِيَالِهِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَسَّعَ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي سَائِرِ سَنَتِهِ ‘যে ব্যক্তি আশুরার দিন তার পরিবার পরিজনের জন্য সচ্ছলতার ব্যবস্থা করবে আল্লাহপাক পুরো বছর তাকে সচ্ছলতার সাথে রাখবেন।’[তাবারানী কাবীর, ১০/৯৪, হাদীস নং-১০০০৭; বাইহাকী, শুআবুল ঈমান :৫/৩৩১, হাদীস নং-৩৫১২] হাদীসটি হযরত ইবনে মাসউদ রাযি. থেকে এভাবে বর্ণিত হয়েছে- مَنْ وَسَّعَ عَلَى عِيَالِهِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ لَمْ يَزَلْ فِي سَعَةٍ سَائِرَ سَنَتِهِ…

Read More

মাওলানা খলীলুর রহমান সাজ্জাদ নোমানী ।। গতকাল একটি চিঠি পেয়েছি, যা আমার রাতের ঘুম ছিনিয়ে নিয়েছে। সত্যি বলছি, চিঠিটি পড়ে কয়েক ঘন্টা আমি নির্বাক হয়ে পড়ে ছিলাম। চিঠিটি এক নারীর পক্ষ থেকে এসেছিল। আমি সেই চিঠির কিছু অংশ আপনাদেরকে পড়ে শোনাচ্ছি। এটাই আমার আজকের আলোচ্য বিষয়। মেয়েটি লিখেছে, “ আমি এবং আমার স্বামী দুজনেই আপনার হাতে বাইআত হয়েছি। আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার সাথে অন্যায় আচরণ করে, আমার উপর অত্যাচার করে। আমার স্বামী অনেক ভালো। আমি আল্লাহ তাআলার লাখো শোকর আদায় করি। কিন্তু আমি এটা জানতে চাই, যদি স্ত্রীর উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন জুলুম করে, অন্যায় আচরণ করে তাহলে কি স্বামীর জন্য…

Read More

একজন ছাত্র ভাইয়ের হৃদয়ের কিছু কথা তার বন্ধুদের প্রতি। যেন আমাদের বিরতি শুধু “বিরতি” না হয়। বন্ধুরা! আশা করি উপকৃত হবে। তাই মনোযোগ দিয়ে পড়বে। ১। মাতা-পিতার খেদমাত : সর্বপ্রথম কাজ হল মাতা-পিতার খেদমত করার চেষ্টা করা। খেদমত মানে সরাসরি তাদের কোন কাজ করে তাদেরকে খুশি করে দেয়া। যেমন : তাদের জামা-কাপড় ধোয়া, মাথায় তেল দেয়া, জুতা জোড়া পরিষ্কার করা, বাজার করা, ঘরের কাজে সাহায্য করা ইত্যাদি। মাতা-পিতার নিকট সন্তান সর্বদা সন্তানই। তাই আমাদের উচিত নিজেদের সমস্ত পদ-মর্যাদা নিজ কর্মস্থলে রেখে মাতা-পিতার নিকট যাওয়া। একটা বিষয় সবসময় আমাকে খুউব পীড়া দেয়। আমরা লেখা-পড়ার জামানায় অধিকাংশ সময় মাদরাসাই থাকি। বছরে ৩/৪…

Read More

মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া ।। কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ -মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫ কার উপর কুরবানী ওয়াজিব মাসআলা : প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয়…

Read More

মুহাম্মাদ যাকারিয়া আবদুল্লাহ : ইসলাম পূর্ণাঙ্গ দ্বীন। তাই এতে আকাইদ, ইবাদত, মুয়ামালাত, মুআশারাত, আখলাক ইত্যাদি সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি বিষয়েরই আলাদা গুরুত্ব আছে। ইসলামের কোনো অংশকেই গুরুত্বহীন মনে করার অবকাশ নেই। পূর্ণাঙ্গতার পাশাপাশি ইসলামের দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যথার্থতা। কেননা, ইসলামই হল আল্লাহর মনোনীত দ্বীন। গোটা মানবজাতির জন্য আল্লাহ তা প্রদান করেছেন। তাই এর সকল বিধান মানবজাতির সকল শ্রেণীর জন্য পূর্ণ কল্যাণকর। আল্লাহ তাআলা তাঁর সর্বোত্তম বান্দাদের মাধ্যমে এই দ্বীনকে সংরক্ষণ করেছেন। আকাইদ ও ইবাদত থেকে শুরু করে মুআশারাত ও সিয়াসাত পর্যন্ত ইসলামের সকল নির্দেশনা শক্তিশালী ভিত্তির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত। একজন মুমিনের জন্য এই দুটি বিষয় গভীরভাবে অনুধাবন করা অপরিহার্য। কিন্তু দুঃখজনক…

Read More

আমীর হামযাহ রমযান মাস খায়ের ও বরকতের মাস। পুরো রমযান জুড়েই আল্লাহর পক্ষ থেকে খায়ের ও বরকতের ধারা অব্যাহত থাকে। বরকতপূর্ণ এ মাস আগমনের পূর্বে এর আগমনি বার্তা নিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদেরকে বিশেষ একটি রাত দিয়েছেন। সে রাতের ইবাদত ফরয বা ওয়াজিব নয়। তবে অনেক ফযীলতপূর্ণ। শবে বারাআতের নামকরণ ‘শবে বারাআত’ (شب براءة), এ বাক্যে দু’টি শব্দ। একটি হল ‘শব’। দ্বিতীয়টি হল ‘বারাআত’। (একে ‘বরাত’ বলা ভুল।) ‘শব’ শব্দটি ফার্সী। যার অর্থ, রজনী বা রাত। আর ‘বারাআত’ শব্দটি আরবী। এর অর্থ, মুক্তি, নাজাত, পরিত্রাণ ইত্যাদি। উভয়টি মিলে অর্থ হল- মুক্তির রজনী বা নাজাতের রাত। যেহেতু এ রজনীতে অগণিত মানুষের গুনাহ…

Read More