নাম মাও. আবদুল হাই। “আলগির হুজুর” নামে পরিচিত। বাড়ি শাহতলি, চাঁদপুর। লালবাগ মাদ্রাসার মুহাদ্দিস সাহেব হুজুর নামে খ্যাত মাও. হেদায়েতুল্লাহ সাহেব রহ. (মোমিনপুর, চাঁদপুর) এর ভাতিজী-জামাই। একজন ফেরেশতা সুরত-সীরত মানুষ। চাঁদপুরের শাহতলি কামিল মাদ্রাসায় জীবনভর হাদীসের খেদমত করছেন। পাশাপাশি একটি মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
সহজ, সরল। গভীর জ্ঞানের সমুদ্র! জীবন ভর আলো ছড়িয়েছেন। আলোকিত করেছেন সমাজ, পরিবার ও পরিচিত সকলকে। যে বা যারা তাঁর সামান্য সান্নিধ্য পেয়েছে, তাঁর কাছে পড়েছে, তাঁর ছোঁয়া লাভ করেছে সকলেই মুগ্ধ মোহিত হয়েছে। এ যুগেও কি এমন “সাহাবা-নমুনা” মানুষ হতে পারে? সত্যিই বিরল! আমাদের মাঝে আলোচনা হতো, কেউ যদি সাহাবাদের নমুনা দেখতে চাও তবে নানাকে দেখ।
৯৪/৯৫ বছরের দীর্ঘ জীবনে কাউকে নিজের কথায় বা আচরণে কষ্ট দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। ছাত্র বা পরিবারের কারো প্রতি একবারও হাত তোলেননি। কল্পনা করা যায়!কথায় বা আচরণে কারো প্রতি ক্ষোভ, হিংসা বা বিরক্তি প্রকাশ পায়নি।
হযরত আনাস রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “হে বৎস! তোমার অন্তরে কারো প্রতি বিদ্বেষ লালন করা ছাড়া যদি তুমি সকাল-সন্ধ্যা অতিবাহিত করতে পার তবে তাই কর।” এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “একটি আমার আদর্শ। আর যে আমার আদর্শ লালন করে সে আমাকে ভালবাসে। যে আমাকে ভালবাসে সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।” [তিরমিযী : ২৬৭৮]
নানাকে দেখলে, তাঁকে স্মরণ হলে আমার এবং আমাদের এ হাদীসটি মনে হয়। সত্যিই অতুলনীয়!! খ্যাতি বা প্রসিদ্ধির কল্পনাও যার অন্তরে ছিল না। হাদীসে যাদেরকে “খামিলুজ জিকির” বলা হয়েছে।
এই মহা মানবকে আজ ভোরে কবরে শায়িত করে এখন ঢাকা ফিরছি। আর নিজের মধ্যে ধারণ করার চেষ্টা করছি সেই শুভ্র জীবনের কিছু শুভ্রতা।
.سقى الله ثراه وجعل الجنة مثواه. وادخله فسيح جنانه