Close Menu
পরিবারবিডিপরিবারবিডি
    বিশেষ প্রবন্ধ

    ইসলামী উত্তরাধিকার বিধান ও নারীর অধিকার

    মে ১৬, ২০২৫

    রাগ নিয়ন্ত্রণ

    ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫

    পাত্রী দেখার গুরুত্ব ও নিয়ম

    ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫
    Facebook X (Twitter) WhatsApp Telegram
    • ইসলামী উত্তরাধিকার বিধান ও নারীর অধিকার
    • রাগ নিয়ন্ত্রণ
    • পাত্রী দেখার গুরুত্ব ও নিয়ম
    • যেভাবে শিশুদেরকে ধৈর্য এবং শৃঙ্খলা শিখাবেন
    • নামের গুরুত্ব : শিশুর নাম নির্বাচন করবেন যেভাবে
    • পারিবারিক বন্ধনে ধৈর্য ও সহনশীলতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
    • সংসারের সুখের সোপানে স্ত্রীর গুণ ও পুরুষের ধৈর্যের অবদান
    • স্ত্রীর কি স্বামীর অর্থের বিবরণ জানার অধিকার আছে?
    • প্রশ্ন পাঠান
    • আমাদের সম্পর্কে
    Facebook X (Twitter) WhatsApp
    পরিবারবিডিপরিবারবিডি
    পাত্র-পাত্রী খুঁজুন
    বুধবার, জুলাই ৯
    • Home
    • পরিবার পরামর্শ
      • পরিবার সচেতনতা
      • পিতা-মাতা
      • স্বামী-স্ত্রী
      • সন্তান
    • বিবাহ
      • তালাক
    • ইসলাম
      • আল কুরআন
      • আল হাদীস
    • নতুন প্রশ্নোত্তর
    • অন্যান্য
      • ইসলামিক নাম
      • বইসমূহ
    পরিবারবিডিপরিবারবিডি
    ইসলাম

    পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কিছু গল্প

    জানুয়ারি ২১, ২০২৫
    Facebook Twitter Telegram WhatsApp Copy Link

    আমীর হামযাহ

    পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা মানবজীবনের এক অনন্য নৈতিক মূল্যবোধ। এটি শুধু সামাজিক আদর্শ নয়, বরং ইসলামের মৌলিক নির্দেশনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের শিক্ষায় পিতামাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা, বিনয় এবং সেবা করার গুরুত্ব বারবার উঠে এসেছে। নবীদের জীবন এবং সাহাবিদের আচরণ এই গুণের অনন্য উদাহরণ।

    নিম্নে পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কিছু অনুপ্রেরণাদায়ক কাহিনী তুলে ধরা হলো, যা আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে এবং আত্মসমালোচনার পথ উন্মুক্ত করে।

    ইবরাহিম (আ.)-এর পিতার প্রতি কোমলতা ও নম্রতার বার্তা

    খলিলুল্লাহ ইবরাহিম (আ.)—যিনি নবীদের পিতা এবং হানিফদের ইমাম নামে পরিচিত—তার পিতার প্রতি যে ভদ্রতা ও সৌজন্য দেখিয়েছিলেন, তা এক অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত। তার পিতা আজর মূর্তিপূজার প্রতি আসক্ত এবং অবিশ্বাসের গভীরে নিমজ্জিত ছিলেন। তবুও ইবরাহিম (আ.) কখনও কঠোর ভাষায় কথা বলেননি। বরং তিনি কোমলতা ও নম্রতায় তাকে সম্বোধন করতেন। তিনি বারবার তার পিতাকে ডেকে বলতেন, “হে পিতা।” এই একটিমাত্র সম্বোধনেই ফুটে ওঠে পিতার প্রতি তার হৃদয়ের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

    ইবরাহিম (আ.) চেষ্টা করেছিলেন তার পিতাকে এক আল্লাহর ইবাদতের পথে আহ্বান জানাতে এবং শিরকের অন্ধকার থেকে মুক্ত করতে। তিনি বারবার যুক্তি ও প্রেমপূর্ণ আহ্বানের মাধ্যমে তাকে সত্যের দিকে ফেরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার পিতা যখন এই আহ্বানে সাড়া দেননি, তখন ইবরাহিম (আ.) হতাশ বা ক্রুদ্ধ না হয়ে বরং শান্ত ও মার্জিতভাবে উত্তর দিয়েছিলেন। তার কথায় ছিল এক অদ্ভুত সৌজন্য:
    قَالَ سَلَامٌ عَلَيْكَ سَأَسْتَغْفِرُ لَكَ رَبِّي إِنَّهُ كَانَ بِي حَفِيًّا [মারিয়াম: ৪৭]
    (ইবরাহিম বললেন: তোমার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি তোমার জন্য আমার প্রভুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব। নিশ্চয় তিনি আমার প্রতি দয়ালু।)

    এই এক বাক্যে ফুটে উঠেছে তার পিতার প্রতি গভীর মমতা এবং প্রভুর প্রতি অগাধ বিশ্বাস।

    ইয়াহইয়া (আ.)-এর উদাহরণ: শ্রদ্ধার মূর্ত প্রতীক

    আল্লাহ ইয়াহইয়া (আ.)-এর প্রশংসা করেছেন তার পিতামাতার প্রতি সদয় আচরণের জন্য। ইয়াহইয়া (আ.) ছিলেন বিনম্র, কোমল এবং সম্পূর্ণরূপে তাদের প্রতি আনুগত্যশীল। পবিত্র কুরআনে তার চরিত্রের এই দিকটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে:
    وَبَرًّا بِوَالِدَيْهِ وَلَمْ يَكُنْ جَبَّارًا عَصِيًّا [মারিয়াম: ১৪]
    (তিনি পিতামাতার প্রতি সদয় ছিলেন এবং ছিলেন না অহংকারী বা অবাধ্য।)

    ইয়াহইয়া (আ.)-এর এই উদাহরণ প্রমাণ করে যে, পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের প্রতি বিনম্রতা মহান চরিত্রের একটি অপরিহার্য অংশ।

    গভীর মমতায় বোনা পবিত্র ভালোবাসার এক উজ্জ্বল অধ্যায়

    নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি নিঃসীম ভালোবাসা এবং তার শিক্ষার প্রতি আনুগত্য ছিল সাহাবিদের জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাদের মধ্যে আবু হুরাইরা (রা.)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার জীবন ছিল পিতামাতার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি তার মায়ের প্রতি গভীর ভালোবাসা, মমতা, এবং কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেন।

    আরো পড়ুন  দাম্পত্য জীবনে নতুনত্ব আনবেন যেভাবে

    মায়ের প্রতি আবু হুরাইরা (রা.)-এর হৃদয়স্পর্শী আচরণ

    প্রতিদিন ঘর থেকে বের হওয়ার আগে আবু হুরাইরা (রা.) তার মায়ের দরজার সামনে দাঁড়াতেন। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে উচ্চারণ করতেন:
    ” হে আমার মা, আপনার প্রতি আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।”
    এই মধুর শব্দগুলো ছিল তার মায়ের হৃদয়ে শান্তির স্রোত বইয়ে দেওয়ার এক অনন্য উপহার। তার মাও গভীর ভালোবাসায় জবাব দিতেন:
    “হে আমার সন্তান, তোমার প্রতিও আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।” এই বিনিময় ছিল তাদের হৃদয়ের গভীর সংযোগের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তারপর আবু হুরাইরা (রা.) তার মায়ের প্রতি দোয়া করতেন, যা ছিল তার মনের গভীর কৃতজ্ঞতার প্রতিফলন:
    “আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন, যেভাবে আপনি আমাকে ছোটবেলায় লালন-পালন করেছেন।”
    তার এই কথাগুলো ছিল শুধুমাত্র একটি প্রার্থনা নয়, বরং একটি জীবন্ত অনুভূতির প্রকাশ। তার মা উত্তরে দোয়া করতেন, যা তার প্রতি সন্তানের সেবার স্বীকৃতি ছিল:
    “আল্লাহ তোমার প্রতি দয়া করুন, যেভাবে তুমি বড় হয়ে আমার প্রতি সদয় থেকেছ।”

    ভালোবাসার এই সম্পর্কের মহিমা

    এই হৃদয়স্পর্শী কথোপকথনের প্রতিটি শব্দে ফুটে ওঠে গভীর মমতা, শ্রদ্ধা, এবং আন্তরিকতা। আবু হুরাইরা (রা.)-এর এই আচরণ তার মায়ের প্রতি নিখাদ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এবং তার অন্তরের উদারতার একটি দৃষ্টান্ত। এ থেকে আমরা শিখি, পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কেবল একটি দায়িত্ব নয়, এটি একটি ইবাদত, যা আমাদের জীবনকে বরকতময় করে তোলে।

    এই কাহিনী আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, পিতামাতার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারি এবং আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে পবিত্রতায় ভরিয়ে তুলতে পারি।

    আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.)-এর মায়ের প্রতি গভীর ভালোবাসা

    এক রাতে আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা.)-এর মা পানি চাইলেন। তিনি তার মায়ের এই চাওয়া পূরণের জন্য দ্রুত পানি আনতে গেলেন। যখন তিনি ফিরে এলেন, তখন দেখলেন তার মা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তিনি তার মাকে ঘুম থেকে জাগাতে চাননি, কারণ এতে তার মা বিরক্ত হতে পারেন।

    তবুও, তিনি কোথাও যাননি। তিনি তার মায়ের মাথার পাশে পানি নিয়ে সারা রাত দাঁড়িয়ে থাকলেন। তার হৃদয়ে একমাত্র চিন্তা ছিল—যদি তার মা ঘুম থেকে উঠে পানি চান, তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা দিতে পারবেন। এই গভীর ভালোবাসা এবং ত্যাগের দৃষ্টান্ত আমাদের মনে করিয়ে দেয়, পিতামাতার প্রতি নিঃস্বার্থ সেবাই সন্তানের আসল দায়িত্ব।

    আরো পড়ুন  সন্তানের আকিকা করতে হয় যে কারণে

    ইবনুল হাসান আত-তামিমি: মায়ের সুরক্ষার জন্য অসীম ত্যাগ

    ইবনুল হাসান আত-তামিমি একবার একটি বিচ্ছুকে দেখতে পেলেন, যা তার মায়ের কাছাকাছি ছিল। তিনি বিচ্ছুটিকে হত্যা করতে উদ্যত হন, কিন্তু বিচ্ছুটি একটি গর্তে ঢুকে পড়ল। তিনি মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিলেন, তার মাকে কোনোভাবেই এই বিপদে ফেলা যাবে না। তাই তিনি নিজের হাত গর্তের মধ্যে ঢুকিয়ে তা আঙুল দিয়ে বন্ধ করে দিলেন।

    বিচ্ছুটি তাকে বারবার কামড় দিল, তবুও তিনি নিজেকে সরাননি। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, কেন তিনি এমন করলেন। তিনি অত্যন্ত বিনম্রভাবে বললেন:
    “আমি ভয় পেয়েছিলাম, যদি এটি বেরিয়ে এসে আমার মায়ের কাছে যায় এবং তাকে কামড় দেয়।”
    এই ঘটনা কেবল ত্যাগের নয়, মায়ের প্রতি নিঃশর্ত ভালোবাসা ও সুরক্ষার গভীর প্রতিশ্রুতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ।

    ইবন আওন আল-মাজনী: মায়ের প্রতি বিনম্রতার অভূতপূর্ব চিত্র

    ইবন আওন আল-মাজনী ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী ও পরহেজগার। একদিন তার মা তাকে ডাকলেন। তিনি উত্তর দিলেন, কিন্তু তার কণ্ঠস্বর ভুলক্রমে তার মায়ের কণ্ঠস্বর থেকে উচ্চতর হয়ে গেল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি করলেন, এটি একটি বড় ভুল হয়েছে। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধায় তিনি এতটাই সংবেদনশীল ছিলেন যে, এই ঘটনাটি তাকে গভীর অনুতাপে ভরে দিল।

    তিনি তার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য দুটি ক্রীতদাসকে মুক্তি দিলেন। তার এই আচরণ আমাদের শিক্ষা দেয়, মায়ের প্রতি শ্রদ্ধায় ক্ষুদ্রতম ভুলকেও কতোটা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত এবং তার প্রতিকার করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

    মানবতার আলোয় আলোকিত এক মুহূর্ত

    জীবনের প্রতিটি ছোট ছোট ঘটনা কখনো কখনো এমন গভীর ছাপ রেখে যায়, যা মানুষের হৃদয়কে বদলে দিতে পারে। এমনই একটি বাস্তব কাহিনী, যেখানে ভালোবাসা, দয়া, এবং মানবতার স্পর্শ এক বৃদ্ধার জীবনে আলোর ঝলকানি এনে দেয়।

    বৃদ্ধার নির্জনতা ও একাকিত্বের গল্প

    একজন দাঈ তার দাওয়াতি সফরে ইউরোপের একটি দেশে গিয়েছিলেন। সেখানে এক রেলস্টেশনের ব্যস্ত পরিবেশে তিনি চুপচাপ বসে ছিলেন। মানুষের কোলাহলের মাঝে হঠাৎ তার চোখে পড়ল প্রায় সত্তর বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। মহিলাটি এক হাতে একটি আপেল ধরে ছিলেন, আর অবশিষ্ট কয়েকটি দাঁত দিয়ে আপেলটি খাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার প্রচেষ্টা ছিল কষ্টসাধ্য, তার মুখের বিভ্রান্তি এবং চোখের শূন্য দৃষ্টি যেন তার জীবনের একাকিত্বের প্রতিচ্ছবি ছিল।

    আরো পড়ুন  ‘টিউব মেহেদি’ হাতে পায়ে ব্যবহার করলে অযু-গোসল হবে কি?

    এক টুকরো মানবতার স্পর্

    দাঈ ধীরে ধীরে বৃদ্ধার পাশে গিয়ে বসেন। তার মমতাপূর্ণ দৃষ্টি ও কোমল ব্যবহার মহিলাকে আপ্লুত করে তোলে। তিনি বিনা সংকোচে বৃদ্ধার হাত থেকে আপেলটি নিয়ে নিলেন। খুব যত্ন সহকারে আপেলটি কেটে টুকরো করলেন এবং সেগুলো বৃদ্ধার সামনে তুলে ধরলেন। এই সামান্য কাজেই যেন মহিলার জীবনের নীরব অন্ধকারে একটি মৃদু আলোর কিরণ ছড়িয়ে পড়ল।

    হঠাৎ, বৃদ্ধা আবেগে কেঁদে ফেললেন। তার কাঁধ কাঁপছিল, আর চোখ থেকে গড়িয়ে পড়া অশ্রু যেন তার একাকিত্বের গল্প বলছিল। দাঈ বিস্ময়ে তাকে জিজ্ঞেস করলেন:
    “আপনি কাঁদছেন কেন?”

    বৃদ্ধার হৃদয়বিদারক উত্তর

    বৃদ্ধা থেমে থেমে কাঁপা কণ্ঠে বললেন:
    “দশ বছর ধরে কেউ আমার সঙ্গে কথা বলেনি। আমার সন্তানরাও আমাকে দেখতে আসেনি। আপনি কেন আমার জন্য এমন করলেন?”

    বৃদ্ধার কথা শুনে দাঈর হৃদয় কেঁদে উঠল। তিনি ধীর কিন্তু দৃঢ় কণ্ঠে উত্তর দিলেন:
    “এই ধর্ম যা আমি অনুসরণ করি, এটি আমাকে এমনটাই শিক্ষা দেয়। এটি আমাদের পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখাতে বলে।”

    মাতৃত্বের প্রতি ইসলামের শিক্ষা

    দাঈ বৃদ্ধার চোখে চোখ রেখে আরও বললেন:
    “আমার দেশে আমার মা আমার সঙ্গে থাকেন। তার বয়স আপনার মতোই। তিনি রাণীর মতো জীবন যাপন করেন। আমরা তার অনুমতি ছাড়া বাইরে যাই না, তার আগে খাই না। আমি এবং আমার সন্তানরা তার সেবা করার জন্য কাজ করি। এটাই আমাদের ধর্ম আমাদের নির্দেশ দিয়েছে।”

    বৃদ্ধা স্তব্ধ হয়ে তার কথা শুনছিলেন। তার চোখে বিস্ময় এবং মুখে মৃদু প্রশান্তির ছাপ ছিল। কয়েক মুহূর্ত নীরব থাকার পর, বৃদ্ধা জিজ্ঞেস করলেন:
    “আপনার ধর্ম কী?”

    দাঈ শান্ত কণ্ঠে উত্তর দিলেন:
    “ইসলাম।”

    আলোর স্পর্শে নতুন পথচলা

    এই একটিমাত্র উত্তরই বৃদ্ধার জীবনে এক বিপ্লব ঘটিয়ে দিল। তার চোখে যেন নতুন করে বেঁচে থাকার অর্থ ফুটে উঠল। এই ছোট্ট ভালোবাসার আচরণ, এই মানবিক স্পর্শই তাকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করল। আর সেদিনই তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন।

    শিক্ষা: ভালোবাসার শক্তি

    এই কাহিনী আমাদের শেখায়, ভালোবাসা এবং দয়ার একটুকরো আচরণও মানুষের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ইসলামের মূল ভিত্তি মানবতা, দয়া, এবং শ্রদ্ধা। একজন বৃদ্ধার একাকিত্ব দূর করে তাকে জীবনের নতুন দিশা দেখানোর এই ঘটনাটি কেবল একটি গল্প নয়, এটি আমাদের জন্য একটি উদাহরণ এবং দায়িত্বের আহ্বান।

    পৃথিবীর আলো তখনই ছড়ায়, যখন মানুষ একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতির আলো জ্বালায়।

    সাম্প্রতিক পোষ্টসমূহ

    পরিবার সচেতনতা

    রাগ নিয়ন্ত্রণ

    ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
    ইসলাম

    পাত্রী দেখার গুরুত্ব ও নিয়ম

    ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫
    ইসলাম

    যেভাবে শিশুদেরকে ধৈর্য এবং শৃঙ্খলা শিখাবেন

    ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
    Leave A Reply Cancel Reply

    সাম্প্রতিক পোস্ট

    ইসলামী উত্তরাধিকার বিধান ও নারীর অধিকার

    মে ১৬, ২০২৫

    রাগ নিয়ন্ত্রণ

    ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫

    পাত্রী দেখার গুরুত্ব ও নিয়ম

    ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫

    যেভাবে শিশুদেরকে ধৈর্য এবং শৃঙ্খলা শিখাবেন

    ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫

    নামের গুরুত্ব : শিশুর নাম নির্বাচন করবেন যেভাবে

    ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫
    প্রসঙ্গসমূহ
    অযু অর্থনীতি আক্বিদা আখেরাত আশুরা আশুরার দিন ভালো খাবার ইবাদত ইমদাদুল্লাহ ইসলাম উপার্জন কর্মজীবন কুরবানী ছুটি জন্মনিয়ন্ত্রণ তালাক দাম্পত্যজীবন নারী নারী অধিকার ন্যূনতম ধর্মীয় শিক্ষা পরিবার পারিবারিক কলহ পারিবারিক জীবন পারিবারিক দায়িত্ব পারিবারিক সমস্যা পিতা-মাতা বাচ্চা বিনোদন বিবাহ বিরতি বিলম্বে বাচ্চা নেওয়া বিয়ে মহররম মা মাসআলা মাসায়েল রমযান রিযিক শাবান শাশুড়ি শিক্ষা সন্তান সফলতা সমাজ সম্পদ স্বামী-স্ত্রী
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    আপনাদের পারিবারিক জীবন সুখময় করার লক্ষে আমাদের নিরলস চেষ্টা। একদল নিবেদিত প্রাণ গবেষক ও আলিম আপনাদের গাইড দিয়ে যাচ্ছেন।

    গুরুত্বপূর্ণ ফিচার
    • পরিবার পরামর্শ
    • নতুন প্রশ্নোত্তর
    • পাত্র-পাত্রী
    • প্রশ্ন পাঠান
    • বইসমূহ
    যোগাযোগ
    মাহমুদনগর, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা-১৩৬১।
    poribarbd71@gmail.com‏
    +8801818713084
    • পরিবার পরামর্শ
    • নতুন প্রশ্নোত্তর
    • পাত্র-পাত্রী
    • প্রশ্ন পাঠান
    • বইসমূহ
    স্বত্ব © ২০২৫ পরিবারবিডি - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.