শীতকাল আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দাদের জন্য বিশেষ নেয়ামত। একজন মুসলিম এতে সহজেই আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে। সাহবা-তাবেঈগণের নিকট এ মৌসমের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। তাঁরা একে ইবাদতের ভরা বসন্ত মনে করতেন। লুফে নিতেন আল্লাহর রহমত ও সন্তুষ্টি। এধরনের কিছু আমল ও মাসআলা তুলে ধরা হলো।
১। অধিক পরিমাণে নফল রোযা রাখা।
বিশেষত সোম ও বৃহস্পতিবার এবং চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোযা। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,“শীতকালের রোযা শীতল গনিমত!” [জামে তিরমিযী : ৭৯৭] সোম ও বৃহস্পতিবার এবং চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোযার বিষয়ে তো সহীহ বুখারী ও মুসলিমে হাদীস রয়েছে। এতে এক আমলে দুই সাওয়াব লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ!!
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণিত, তিনি ইরশাদ করেন, ‘শীতকালকে মারহাবা! এতে বরকতের ঝরণা ধারা বয়ে যায়! রাত দীর্ঘ হয় ‘কিয়ামুল্লাইলের’ জন্য! দিন ছোট হয় সিয়ামের জন্য!’ [লাতাইফুল মাআরিফ : পৃ. ৩৭১]
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তব রা. বলেন, ‘শীতকাল মুমিনের গনিমত’। [হিলইয়াতুল আউলিয়া : ১/৫১]
২। কিয়ামুল্লাইল তথা তাহাজ্জুদের বিষয়ে যত্নবান হওয়া।
সালাফের নিকট বিষয়টির গুরুত্ব আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. এর পূর্বোক্ত আছার থেকে প্রতিয়মান হয়। তাছাড়া হযরত আবু সাইদ খুদরী রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, “শীতকাল মুমিনের ভরা বসন্ত। দীর্ঘ রাত তাহজ্জুদে কাটায়। দিন ছোট হওয়ায় কাটায় রোযায়। [মুসনাদে আহমদ : ৩/৭৫, সুনানে কুবরা, বায়হাকী : ৪২৯৭, হাদীসটি জয়িফ]
৩। পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা।
ক. পায়ের গোড়ালিতে পানি পৌছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা।
হাদীসে এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং কঠিন কথা এসেছে। শীতের তাড়ায় অনেক সময় এতে অবহেলা হয়। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেন- ‘আমরা মক্কা হতে মদীনা ফিরছিলাম। রাস্তায় আমরা পানি পেলে কিছু লোক তাড়াহুড়া শুরু করে দিল। তাড়াহুড়া করে তারা অযু সেরে ফেলল। আমরা পৌঁছে দেখি তাদের পায়ের গোড়ালি শুকনো। তাতে পানি পৌঁছেনি। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- “ কিছু পায়ের গোড়ালির জন্য জাহান্নামের শাস্তি! তোমরা খুব ভালভাবে অযু কর।” [সহীহ মুসলিম : ২৪১]
খ. ভালোভাবে অযু করা।
প্রত্যেকটি অঙ্গ যত্নসহ ধোয়। সকল অঙ্গে পূর্ণভাবে পানি পৌঁছানোর বিষয়ে সর্তকতা অবলম্বন করা। এ কাজ যদিও বছরের অন্য সময়গুলোতেও কাম্য তবে শীতের দিনে এর গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- “আমি কি তোমাদেরকে এমন আমলের কথা বলে দিব না যার মাধ্যমে আল্লাহ পাপরাশি মুছে দিবেন এবং জান্নাতের স্তর উঁচু করে দিবেন?” সাহাবাগণ বললেন, অবশ্যই বলুন ইয়া রাসূলাল্লাহ! নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- “(১)কষ্টের ক্ষেত্রে খুব ভালোভাবে অযু করা। (২) অধিক পরিমাণে মসজিদের দিকে গমন করা। (৩) এক নামাযের পর অন্য নামাযের জন্য অপেক্ষা করা। [সহীহ মুসলিম : ২৫১]
গ. অজুর সময় জামা, শার্ট ইত্যাদির হাতা ভালভাবে গুটিয়ে নেওয়া।
অনেকে শীতের কারণে হাতা না গুটিয়েই অযু করেন। এটি অনুচিত। কনুই শুকনো থেকে গেলে তো অযুই হবে না। তাছাড়া কনুই, টাখনু ইত্যাদির উপরি ভাগসহ ধোয় অধিকাংশ ইমামগণের মতে মুস্তাহাব। সহীহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে, নুআঈম বিন মুজবির রহ. বলেন, ‘আমি আবু হুরাইরা রা. কে অযু করতে দেখলাম। তিনি মুখমণ্ডল ধৌত করলেন। খুব ভালভাবে ধৌত করলেন। তারপর ডান হাত ধৌত করলেন বাহুর কিছু অংশসহ। তারপর বাম হাত ধৌত করলেন বাহুর কিছু অংশসহ। এরপর মাথা মাসেহ করলেন। অতপর ডান পা ধৌত করলেন নলার কিছু অংশসহ। অতপর বাম পা ধৌত করলেন নলার কিছু অংশসহ। এরপর তিনি বললেন, “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে এভাবে অযু করতে দেখেছি।” [সহীহ মুসলিম : ২৪৬]
ঘ. চাপাচাপি করে অযু ধরে রাখার প্রবণতা পরিহার করা।
এটি একদিকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অপরদিকে মাকরূহ। নামযের মান অনেক কমিয়ে দেয়। হযরত আয়শা রা. বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি- “খাবারের উপস্থিতে নামায নেই এবং মল-মত্রের বেগ চেপে রাখা অবস্থায় নামায নেই।” [সহীহ মুসলিম : ৫৬০] হযরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- “আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাসী কোন মুমিনের জন্য বৈধ নয়, মল-মুত্রের বেগ চেপে রাখা অবস্থায়,তা দূর না করে নামায আদায় করা।” [সুনানে আবু দাউদ :৯১]
* কয়েকটি বিষয়ে অনেকে ভুল ধারণা পোষণ করেন :
· অজুর পর রুমাল ইত্যাদি দিয়ে হাত-মুখ মোছা। এর কারণে সাওয়াব হ্রাস পাবে না। হযরত আয়শা রা. বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি কাপড়ের টুকরো ছিল যার দ্বারা অযুর পর মুছতেন।’ [জামে তিরমিযী : ৫৩, ৫৪, হাদীসটি জয়িফ]
· প্রচণ্ড শীতে পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে তায়াম্মুম করা যাবে। [দেখুন : সুনানে আবুদাউদ : ৩৩৫, মুসতাদরাকে হাকিম : ১/১৭৭]
· পবিত্রতা অর্জনে গরম পানি ব্যবহার করলে কোন সমস্যা নেই। এর দ্বারা সাওয়াব হ্রাস পাবে না ইন্শাআল্লাহ।
৪। জাহান্নামের বিষয়ে পূর্ণ সতর্ক হওয়া।
হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী শীত ও গরমের আগমন জাহান্নাম থেকে। তাই শীতের আগমনে একজন মুমিন রাসূলের হাদীস স্মরণ করে জাহান্নামের বিষয়ে সতর্ক হবে।
হযরত আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “জাহান্নাম আপন প্রভুর কাছে আভিযোগ করে বলল, আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলেছে। তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে দুইবার শ্বাস ফেলার অবকাশ দিলেন। শীতে একটি। গরমে একটি। এর ফলেই তোমরা প্রচণ্ড গরম ও তীব্র ঠাণ্ডা অনুভব কর।” [সহীহ বুখারী : ৪৩৭, সহীহ মুসলিম : ৬১৭]
৫। শীতকালে যোহর ও জুমার নামায আগে আগে পড়া।
হাদীস শরীফে এ বিষয়ে স্পষ্ট আলোচনা এসেছে। তাই শীতকালে একজন মুমিনের এ বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। হযরত আনাস রা. বলেন, ‘শীত তীব্র হলে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামায আগে আগে পড়তেন। আর গরম প্রচণ্ড হলে নামায বিলম্বে পড়তেন।’ [সহীহ বুখারী : ৯০৬]
৬। নামাযে মুখ ঢেকে না রাখা।
শীতের কষ্ট থেকে বাঁচার জন্য অনেকে মুখ ঢেকে রাখেন। এমনকি সালাতের সময়ও মুখ ঢেকেই সালাত আদায় করেন। এটি নিষেধ। পরিহার করতে হবে। হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, ‘নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাপড় ঝুলিয়ে ও মুখমণ্ডল ঢেকে নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন।’ [সুনানে আবু দাউদ : ৬৪৩]
৭। মুজার উপর মাসাহ করা। এটি আল্লাহর ছাড়।
মুজায় মাসেহ করা শীতকালের উপযোগী আমল। চামড়া বা এ জাতীয় মুজায় মাসাহ করা যায়। এটি শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। পূর্ণ অযু অবস্থায় মুজা পরিধান করবে। এরপর অযু নষ্ট হওয়ার সময় থেকে নিয়ে বাড়িতে অবস্থান (ইকামত) কালে এক দিন এক রাত্র আর (শরঈ) সফর অবস্থায় তিন দিন তিন রাত্র মাসাহ করার বিধান আছে। অযুতে পা ধোয়ার পরিবর্তে তিন আঙ্গুল ভিজিয়ে, উভয় মুজার উপর টাখনু পর্যন্ত টান দিবে। যদিও বছর জুড়েই এ আমল করা যায় তথাপি শীতে এর সুযোগ বেশি। হযরত আলী ইবনে আবী তালিব রা. বলেন, ‘নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (মুজার উপর মাসেহের মেয়াদ) মুকিমের জন্য এক দিন এক রাত্র এবং মুসাফিরের জন্য তিন দিন তিন রাত্র নির্ধারণ করেছেন।’ [সহীহ মুসলিম : ২৭৬]
*লক্ষণীয় :
· বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী অযুতে পা ধোয়া ও মুজার উপর মাসাহ করা উভয়টিতেই সওয়াব সমান। মাসাহের কারণে সাওয়াব কমে যাবে না। কিন্তু কোন মুসলমান যদি এই নিয়তে মাসাহ করে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুজা ব্যবহার করেছেন এবং তাতে মাসাহ করেছেন, তাহলে একটি সুন্নতে আমল করার সাওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
· মুজায় মাসাহ করা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য বিশেষ ছাড়। বান্দা হিসেবে মালিকের এ ছাড় গ্রহণ করা উচিৎ। এতে আল্লাহ খুশি হন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহর সাধারন বিধানের পাশাপাশি ছাড়ের বিধানগুলোর উপর আমল করা তিনি পছন্দ করেন।” [মুসনাদে আহমদ : ৫৮৩২] তাই একজন মুমিনের উচিৎ বিভিন্ন সুযোগে মুজার উপর মাসাহ করে আল্লহর এ ছাড় গ্রহণ করা। অন্য হাদীসে আল্লাহর ছাড়কে বিশেষ অনুদান আখ্যাদিয়ে তা গ্রহণের আদেশ করা হয়েছে। [সহীহ মুসলিম : ৬৮৬]
· শীতের দিনে হাত মুজা পরে নাময আদায় করলে নামাযের কোন ত্রুটি হবে না।
৮। শীত বস্ত্র ব্যবহার করা।
শীত মানুষের ক্ষতি করতে পারে। তাই শীতের বস্ত্র ব্যবহার করা। তাবেঈ সুলাইম ইবনে আমির রহ. বলেন, ‘ওমর রা. শীতকাল এলে আমাদেরকে সতর্ক করে চিঠি পাঠাতেন। উপদেশ দিতেন। ‘শীত আগমন করেছে। শীত শত্রুর পর্যায়ে। (অনেক সময় মানুষ এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।) সুতরাং তার জন্য প্রস্তুতি নাও। হাত মুজা, পা মুজা ও হালকা-ভারী যাবতীয় শীতবস্ত্র গ্রহণ কর।’ [লাতাইফুল মাআরিফ : ৩৩০পৃ. আসারটি হাসান পর্যায়ের।]
৯। শীত বস্ত্র পেয়ে শুকরিয়া আদায় করা।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেহেতু শীতের প্রকোপ থেকে বাচাঁর ব্যবস্থা দিয়েছেন তাই তাঁর শুকরিয়া আদায় করা। অনেক প্রাণী এমনকি অনেক মানুষও শীতে কষ্ট পায়। আল্লাহ তায়ালা বিষয়টি কুরআনুল কারীমে আমাদেরকে স্মরণ করিয়েছেন। ইরশাদ হচ্ছে- “চতুষ্পদ জন্তুকে তিনি সৃষ্টি করেছেন। এতে তোমাদের জন্য রয়েছে উষ্ণতা (শীত বস্ত্রের উপকরণ)। আরো অনেক উপকার। আর কিছু সংখ্যক তোমাদের খাবার।” [সূরা নাহল : ৫]
১০। শীতার্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
শীতের মৌসমে শীতার্ত মানুষের সেবায় নিজকে নিয়োজিত করা, তাদের পাশে দাঁড়ানোর মোক্ষম সুযোগ। এটি যেমন নৈতিক কর্তব্য তেমনি ঈমানী দায়িত্ব। বিশেষ করে বাংলাদেশের মত অনুন্নত দেশে। এখানে বহু সংখ্যক লোক শীতে কষ্ট পায়। তাই এ দায়িত্ব পালন করা আমাদের উপর অপরিহার্য হয়ে পড়ে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলামের পরে এবং পূর্বেও নিজেকে আর্তমানবতার কাজে নিয়োগ করেছেন। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেষ্টা করা উচিৎ। হযরত ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আপন মুসলিম ভাই এর প্রয়োজন পুরা করবে, আল্লাহ তায়ালা তার প্রয়োজন পুরা করবেন।” [সহীহ বুখারী :২৩১০] হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় বান্দা ঐ ব্যক্তি যে আল্লাহর বান্দাদের বেশি উপকার করে।” [মুসনাদে আবু ইয়ালা : ৩৩১৫, সহীহুল জামে : ১৭২]
১১। আগুন, রুম হিটার ইত্যাদি সামনে নিয়ে নামায না পড়া।
শীতকালে অনেক সময় উষ্ণতা লাভের জন্য আগুন, রুম হিটার ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়। এতে শরঈ কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে এগুলো সামনে রেখে নামায আদায় করা মাকরূহ। কারণ এতে অগ্নিপুজারীদের ইবাদতের সাথে সাদৃশ্যতা তৈরী হয়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন কিছু সামনে রেখে নামায পড়তে বারণ করেছেন যার কারনে নামাযের মনোযোগ নষ্ট হয়। অনেক আলেম এ বিষয়ে ফত্ওয়া দিয়েছে।
১২। আগুন, রুম হিটার ইত্যাদি বন্ধ করে ঘুমানো।
রাতে ঘুমানোর সময় আগুন বা রুম হিটার বন্ধ করে ঘুমানো উচিৎ। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। হাদীসে এ বিষয়ে নিষাধাজ্ঞা এসেছে। হযরত আবু মূসা আশআরি রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এই অগ্নি তোমাদের শত্রু। যখন ঘুমাবে তা নিভিয়ে ঘুমাবে।” [সহীহ বুখারী : ৬২৯৪] হযরত ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “ঘুমের সময় অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে রেখো না।” [সহীহ বুখারী : ৫৮৪৮]