আমীর হামযাহ
রমযান মাস খায়ের ও বরকতের মাস। পুরো রমযান জুড়েই আল্লাহর পক্ষ থেকে খায়ের ও বরকতের ধারা অব্যাহত থাকে। বরকতপূর্ণ এ মাস আগমনের পূর্বে এর আগমনি বার্তা নিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদেরকে বিশেষ একটি রাত দিয়েছেন। সে রাতের ইবাদত ফরয বা ওয়াজিব নয়। তবে অনেক ফযীলতপূর্ণ।
শবে বারাআতের নামকরণ
‘শবে বারাআত’ (شب براءة), এ বাক্যে দু’টি শব্দ। একটি হল ‘শব’। দ্বিতীয়টি হল ‘বারাআত’। (একে ‘বরাত’ বলা ভুল।) ‘শব’ শব্দটি ফার্সী। যার অর্থ, রজনী বা রাত। আর ‘বারাআত’ শব্দটি আরবী। এর অর্থ, মুক্তি, নাজাত, পরিত্রাণ ইত্যাদি। উভয়টি মিলে অর্থ হল- মুক্তির রজনী বা নাজাতের রাত। যেহেতু এ রজনীতে অগণিত মানুষের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দেওয়া হয়, তাই একে ‘শবে বারাআত’ বা ‘মুক্তির রজনী’ নামে ভূষিত করা হয়েছে।
অনেকে এ রজনীকে কোরআন-সুন্নাহয় এ নামে খুঁজে না পেয়ে, একেবারে নেই মনে করে অস্বীকার করে বসেন! অথচ তাদের এ ধারণা নিতান্তই অমূলক। কারণ এটি যে ফার্সী, তাতে তো কারোই দ্বিমত নেই। তাহলে এই ফার্সী শব্দ আরবীতে আসবে কী করে? আমরা যে হররোয ‘নামায-রোযা’ বলি, এ নামে তো কোনো ইবাদত কুরআন-সুন্নাহ্য় নেই! কারণ এ শব্দদু’টিও ফর্সী! তাই বলে কি ‘সালাত’ ও ‘সাওম’ ইসলামের ইবাদত নয়?
‘শবে বারাআত’ এর উল্লেখ কুরআনে নেই। তবে হাদীসে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শা’বান’ (ليلة النصف من شعبان) নামে এ রজনীর কথা বিদ্যমান। অবশ্য কুরআনে শুধু “লাইলাতুল কদর” তথা “শবে কদর” এর উল্লেখ আছে। পবিত্র কুরআনে পঁচিশ নম্বর পারায় সূরা দুখানের ২-৩ নং আয়াত দ্বারা ‘শবে কদর’ই উদ্দেশ্য; শবে বারাআত নয়। মুফাস্সিরগণ একেই বিশুদ্ধ বলেছেন আর এ মতটিই যুক্তিসঙ্গত এবং কুরআনের অন্য আয়াতের আলোকে শক্তিশালী। [ আদ্দুররুল মানসূর-৭/৪০১-৪০৭; তাফসীরে কাশ্শাফ-৪/২৭২; তাফসীরে ইবনে কাসীর – ৭/২৪৬]
হাদীসে শবে বারাআত
হাদীস শরীফে শবে বারাআত সংক্রান্ত অনেক বর্ণনাই বিদ্যমান। যেমন –
عن معاذ بن جبل رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : يطلع الله تبارك وتعالى إلى خلقه ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن.
“হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মহান আল্লাহ তা‘আলা অর্ধ শাবানের রাতে (শবে বারাআতে) তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোনিবেশ করেন এবং মুশরিক ও পরস্পর বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।” [সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস : ৫৬৬৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৩৯০]
যেহেতু গায়রে মুকাল্লিদ, তথা কথিত ‘আহলে হাদীস’ ভাইয়েরা এ রাতের ফযীলত অস্বীকার করে থাকেন, তাই তাদের ইমাম ও পুরোধা, মান্যবর ব্যক্তিত্ব, শাইখ আলবানী রহ. এর উদ্ধৃতিও উল্লেখ করা হল। তিনি এ হাদীসকে সহীহ বলেছেন। [আসসিলসিলাতুস সহীহাহ ৩/১৩৫, হাদীস : ১১৪৪] শাইখ আলবানীর ভাষ্য এই,
حديث صحيح ، روي عن جماعة من الصحابة من طرق مختلفة يشد بعضها بعضا و هم معاذ ابن جبل و أبو ثعلبة الخشني و عبد الله بن عمرو و أبي موسى الأشعري و أبي هريرة و أبي بكر الصديق و عوف ابن مالك و عائشة .
এটি একটি সহীহ হাদীস। বিভিন্ন সূত্রে সাহাবাদের একদল হতে হাদীসটি বর্ণিত। যার একটি অপরটিকে শক্তিশালী করে। তাদের মাঝে রয়েছেন, মুয়ায ইবনে জাবাল* আবু সা’লাবা* আবদুল্লাহ বিন আমর* আবু মুসা আশ‘আরী* আবু হুরাইরা* আবু বকর সিদ্দীক* আউফ বিন মালিক ও আয়েশা রা. প্রমুখ সাহাবা।
উপরের হাদীসটি ব্যতীত শাইখ আলবানী আরো কিছু হাদীস উল্লেখ করে সবগুলো হাদীসকে সামষ্টিকভাবে ‘সহীহ’ বলেছেন। প্রথমে শাইখ আলবানী কর্তৃক উল্লেখিত হাদীস আর তারপর তার সে উক্তিটি তুলে দিচ্ছি।
হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
عن عائشة – رضي الله عنها – قالت : فَقَدْتُ رسولَ الله -صلى الله عليه وسلم- ليلة، فإذا هو بالبَقيعِ ، فقال : أكنتِ تَخافينَ أن يحيفَ الله عليك ورَسُولُه ؟ قلتُ : يا رسولَ الله ،إني ظننتُ أنَّكَ أتيتَ بعضَ نسائِكَ ، فقال : إن الله تبارك وتعالى ينزلُ لَيْلَةَ النِّصْفِ من شعبان إلى سَماءِ الدُّنيا ، فَيَغْفِرُ لأكثرَ من عَدَدِ شعر غَنَمِ كلْب.
এক রজনীতে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (শয্যাপাশে) না পেয়ে খুঁজে তাঁকে ‘জান্নাতুল বাকী’তে (মদীনার কবরস্থানে) পেলাম। তিনি বললেন, হে আয়েশা! তুমি কি আশঙ্কা করছিলে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার উপর অবিচার করবেন? আয়শা রা. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি ধারণা করেছিলাম আপনি অন্য কোনো বিবির ঘরে গমন করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন, “আল্লাহ তা‘আলা অর্ধ শাবানের রজনীতে (শবে বারাআতে) প্রথম আকাশে অবতরণ করে বনু কালব গোত্রের মেশপালের পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।” [জামে তিরমিযী, হাদীস : ৭৩৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৩৮৫, মুসনাদে আহমদ ৬/২৩৮, হাদীস : ২৬০২৮]
এ ধরনের আরো কিছু হাদীস উল্লেখ করে সুদীর্ঘ আলোচনার পর তিনি লেখেন,
و جملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلا ريب …..و الله تعالى هو الموفق .
অর্থাৎ মোটকথা হল নিশ্চয় হাদীসটি এ সকল সূত্রপরম্পরা দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে সহীহ। আর সহীহ হওয়া আরো কম সংখ্যক বর্ণনার দ্বারাও প্রমাণিত হয়ে যায় যদি তা অধিক দুর্বল হওয়া থেকে বেঁচে যায়। যেমনটি এ হাদীসের ক্ষেত্রে হয়েছে (যে তা অধিক দুর্বলতামুক্ত)। জরাহ-তা’দীলের ইমাম শায়েখ কাসেমী রহ. “ইসলাহুল মাসাজিদ” গ্রন্থে ‘অর্ধ শা’বানের রজনীর কোনো ফযীলত নেই’ -এ মর্মে যা বর্ণনা করেছেন, তার উপর নির্ভর করা যাবে না। আর যদি অন্য কেউ একথা বলেও থাকেন, তাহলে তা তাড়াহুড়া, ভালভাবে ব্যখ্যা-বিশ্লেষণ ও গবেষণার যোগ্যতা না থাকার কারণে, যেমন গবেষণা আপনার সামনে রয়েছে।” [আসসিলসিলাতুস সহীহাহ কামিলাহ ৩/১৩৫, হাদীস : ১১৪৪]
শায়েখ আলবানী রহ. এর বিশ্লেষণ এ জন্য তোলা হল, যাতে আহলে হাদীস ভাইদের বক্তব্যের ত্রুটি তাদের মুখেই স্পষ্ট হয়। অন্যথায় এ সকল হাদীস বহু পূর্বে অনেক অলিমই সহীহ বলেছেন। যদিও নির্দিষ্ট কোনো হাদীস সম্পর্কে কারো কারো আপত্তি রয়েছে, কিন্তু সামষ্টিকভাবে কারো অপত্তি নেই।
সুতরাং আর একথা বলার অবকাশ নেই যে, হাদীসে তো এ রজনীর ফযীলতের কথা আছে, আমল করার কথা তো নেই! এটা একেবারেই জ্ঞানহীনতার কথা! ফযীলত কি ঘুমিয়ে থাকলে অর্জন হবে? ফযীলত বলা মানেই তো ইবাদতের তাকীদ দেওয়া! তাছাড়া প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও তো এ রাতে ইবাদত করেছেন।
হযরত আ’লা ইবনুল হারিছ রাহ. থেকে বর্ণিত, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. বলেন, একবার প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নামাযে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে, আমার আশঙ্কা হল, তাঁর হয়ত ইন্তিকাল হয়ে গেছে। আমি তখন উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়েশা! -অথবা বলেছেন, ও হুমায়রা!- তোমার কি এই আশঙ্কা হয়েছে যে, আল্লাহ্র রাসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম, না, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি জান এটা কোন্ রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাস‚লই ভালো জানেন। তিনি বললেন, এটা হল অর্ধ শা’বানের রাত। (শা’বানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তা‘আলা অর্ধ শা’বানের রাতে তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি প্রদান করেন, ক্ষমাপ্রার্থীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই। [শো‘আবুল ঈমান, বায়হাকী ৩/৩৮২,৩৮৩]
উপরোক্ত হাদীস থেকে এ রাতের ফযীলত যেমন জানা যায় তদ্রƒপ এ রাতের আমল কেমন হওয়া উচিত তাও বোঝা যায়। অর্থাৎ দীর্ঘ নামায পড়া, সেজদা দীর্ঘ করা, দুআ ও ইস্তেগফার করা ইত্যাদি। মোটকথা, সহীহ হাদীস থাকা অবস্থায় শবে বারাআতের ফযীলত ও গুরুত্বকে সম্প‚র্ণ অস্বীকার করা এবং এসংক্রান্ত সকল রেওয়ায়েতকে মওযূ বা যয়ীফ বলা যে কত বড় অন্যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ রজনীতে করণীয়
মহিমান্বিত এ রজনীতে করণীয় কিছু আমল তো উল্লেখিত হাদীসগুলোতে রয়েছে। আর কিছু আমল অন্যান্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। যে হাদীসগুলো সনদের দিক থেকে হাসান আর কিছু যয়ীফ। যেমন-
১. ইস্তিগফার তথা আল্লাহ্র কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা।
২. আড়ম্বরহীন একাকী কবর যিয়ারত করা।
৩. অর্নিধারিত নফল ইবাদত করা। [এ তিনটি বিষয় পূর্বের হাদীসগুলো থেকেই প্রমাণিত]
৪. পরদিন রোযা রাখা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৩৮৪, শোআ’বুল ঈমান ৩/৩৭৮, ৩৭৯, হাদীস : ৩৮২২, ৩৮২৩৩। এ হাদীসকে কেউ কেউ ‘মওযু’র অপবাদ দিয়েছেন। কিন্তু গবেষকদের মতে তা সঠিক নয়। তবে হাদসীটি এমন ‘যয়ীফ’ যা আমলের যোগ্য]
৫. এ রজনীতে নফল পড়া। (প্রাগুক্ত)
৬. বেশি বেশি দুআ ও তাওবা করা। [শো‘আবুল ঈমান ৩/৩৮৩, হাদীস : ৩৮৩৬। আদ্দুররুল মানসূর ৬/২৭। হাদীসটি হাসান পর্যায়ের]
৭. দীর্ঘ নফল পড়া। [শো‘আবুল ঈমান ৩/৩৮২-৩৮৩, হাদীস : ৩৮৩৫। তারগীব ২/২৪২। হাদীসটি মুরসাল, হাসানের কাছাকাছি]
সতর্কতা
৮. উল্লেখিত বর্ণনাসমূহে একটি কথা বারবার এসেছে যে, এ রজনীতেও আল্লাহ তা‘আলা কিছু সংখ্যক লোককে ক্ষমা করবেন না। হাদীসের সামষ্টিক বর্ণনার আলোকে তারা হল : ১. মুশরিক। ২. আত্মহত্যাকারী। ৩. হিংসুটে ও বিদ্বেষী। ৪. আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী। ৫. পিতা-মাতার অবাধ্য। ৬. মাদক সেবনকারী ও ৭. টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী পুরুষ। তাই এ রজনীর সাধারণ ক্ষমা পেতে হলে যাবতীয় পাপ থেকে মুক্ত থাকা আবশ্যক।
উল্লেখ্য, এ রাতের নির্দিষ্ট কোনো আমল হাদীসে নেই। অনির্ধারিত ও একাকী আমল করবে। সামষ্টিক কোনো আমলও নেই। আর নফল আমলের জন্য মসজিদের তুলনায় ঘর উত্তম। তাই যাবতীয় আমল ঘরে করাই শ্রেয়।
এ রাতে বর্জনীয়
১. আতশবাজি ও রং ছিটানো। ২. হালুয়া-রুটি তৈরি করে আনন্দ উদযাপন। ৩. শিরনি বা তাবাররুক বিলানো। ৪. মাইকে কুরআন তিলাওয়াত। ৫. আলোকসজ্জা। ৬. মসজিদে জামায়েত হয়ে হৈচৈ করা। ৭. গোরস্থানে আলোকসজ্জা করা, মেলা বসানো ও দলে দলে যাওয়া-আসা করা। ৮. মহিলাদের জামা‘আত। ৯. সম্মিলিত কোনো আমলকে এ রজনীতে আবশ্যকীয় কিংবা তার বিশেষ আমল মনে করা ইত্যাদি। এসবই সুস্পষ্ট কুরআন-সুন্নাহ বহির্ভূত কাজ।
উল্লেখিত কর্মসমূহ মহিমান্বিত এ রজনীতে ব্যাপকহারে করা হলেও কুরআন-সুন্নাহ্র কোথাও এর পক্ষে দুর্বলতম একটি প্রমাণও বিদ্যমান নেই। অধিকন্তু এসবের কিছু কাজ বিজাতীয় অনুসরণ, কিছু অপব্যয় আর সামষ্টিকভাবে সবগুলোই এ রাতের ফযীলত থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ। ফযীলতপূর্ণ এ রজনীতে এসব রুসূমাতের পেছনে পড়ার অর্থই হল, কেবল এ রাতের ফযীলত থেকে বঞ্চিত হওয়া, অন্য কিছু নয়।
নফল ইবাদতকে তার নির্দিষ্ট গণ্ডিতে রাখা উচিত। একেবারে অস্বীকার করে পরিহার করা; কিংবা মনগড়া পদ্ধতিতে তাতে বর্ধন করা, উভয়টাই প্রান্তিকতা। তাই যে আমল যেভাবে যতকুটু প্রমাণিত, সেভাবে ততটুকু পালন করাই ইবাদত। এর বাইরে কিছু করা হলে তা ইবাদত বলে গণ্য হবে না।