প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব স্বভাব, রুচি, আকৃতি ও প্রকৃতি থাকে। এটি আল্লাহ তায়ালার সাধারণ নিয়ম। প্রত্যেককেই স্বকীয়তা দান করেছে। কেউ আছেন সর্বদা ফুরফুরে মেজাজে থাকেন। সুন্দর করে কথা বলেন। আবার কেউ এর বিপরীত। মেজাজ চড়ে থাকে প্রায়ই! অনেকটা খিটখিটে ধরনের! আপনার সঙ্গী কেমন? দ্বিতীয় শ্রেণীর? কথা বললেই রেগে বলেন? অথচ আপনি কামনা করছেন সে মধুমাখা কথা বলুক! সুন্দর করে, উত্তমভাবে বলুক! হতাশ হবেন না! একটি মজার কৌশল অবলম্বন করুন। ইনশাআল্লাহ ফল পেতে শুরু করবেন! চলুন তাহলে জেনে নেই সেই কৌশল!
কোন এক অবসরে তাকে নিয়ে বসুন। যখন তিনি কিছুটা ফুরেফুরে মেজাজে থাকেন। একান্তে বসুন! তাকে ভাললাগা ও ভালবাসার কথা বলুন! এক পর্যায়ে তাকে বলুন আমি কিন্তু তোমাকে ছাড়িয়ে গেছি! আজ অনেক পরিমাণে সদকা করেছি! তুমি কী পরিমাণ সদকা করলে?
স্বভাবিক ভাবেই তিনি কিছুটা আশ্চর্য হবেন! জিজ্ঞাসা করবেন, সদকাকরার টাকা পেলে কোথায়? বলুন, টাকা ছাড়াও তো সদকা করা যায়! এই যে আজ সারাদিন তোমার সাথে হাসিমুখে কথা বললাম এটিও তো উত্তম সদকা! আর খানার সময় যে একটুকরো গোস্ত তোমার মুখে তুলে দিয়েছি সেটিও কিন্তু সদকা!
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “উত্তম কথা সদকা।” [সহীহ বুখারী : ২৭০৭] তাই আমি সদকার নিয়তে তোমার সাথে উত্তম কথা বলি! তুমিও চাইলে সুন্দর কথার মাধ্যমে সদকা করতে পার!
অন্য হাদীসে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,“তুমি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার নিয়েতে যাকিছু ব্যায় করবে, এমনিকি যে লোকমা তোমার জীবনসঙ্গীর মুখে তুলে দিবে তাতে তুমি (সদকার) সাওয়াব লাভ করবে!” [সহীহ বুখারী : ৫৬, ১৬২৮] আর হ্যাঁ, সদকার নিয়তেই কিন্তও তোমার মুখে তুলে দিয়েছিলাম গোস্তের টুকরোটি! এ পদ্ধতিতে তুমিও সদকা করতে পার!
এভাবে আপনার সঙ্গীকে বুঝান। আগে নিজে আমল করুন! মনে রাখবেন, আপনাকে তার সাথে তেমন আচরণই করতে হবে তার কাছে যেমন আচরণ আপনার কাম্য। ইনশাআল্লাহ! সমস্যা সমাধান হবে! সুখী হবেন! ইসলামকে জানুন! সুখী হউন!
সুখী হোক আপনার পারিবারিক জীবন! সুখী হউন আপনি! সুখী হোক সকলে! সুখী হোক সামজ।
1 Comment
মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর লেখা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।