নকীব বিন মুজীব
“এই যে শোনো.. তুমি তোমার প্রাণপ্রিয় কলিজার টুকরো সন্তানের কাছে কেমন শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসা কামনা করো..!! তোমার সুস্থতা ও অসুস্থতায় সন্তানের কতটুকু উপস্থিতি তুমি আশা করো? তোমার যৌবনে ও বার্ধ্যকে প্রিয় সন্তানের কি পরিমাণ সেবা-যত্নের প্রয়োজন তুমি অনুভব করো? সন্তান সবসময় তোমাকে ভালবাসুক, তোমার বিপদাপদে কাছে থাকুক, তোমার সেবা-যত্নে এগিয়ে আসুক! হৃদয়ের গহিনে কি তোমার এই কামনা লুকিয়ে আছে!? নিজেকে জিজ্ঞসা করো, সে কি এটা চায় না? হয়ত বলছ: জ্বী! অবশ্যই চায় ৷ তাই না!? হুম! দেখ, তুমি কিন্তু তোমার সন্তানের কাছে এ বিষয়গুলো কামনা করো। আর তা করলে তুমি খুশি থাকো, না করলে তোমার কাছে খারাপ লাগে ৷ মনটা বিষণ্ন থাকে ৷ এমনকি কখনো কখনো রাগ আসে ৷ তাইনা প্রিয়!!
জানতাম তুমি হ্যাঁ-ই বলবে ৷ আচ্ছা তাহলে বল তো: এ কাজগুলোই যখন তোমার প্রাণপ্রিয় স্বামী তোমার শশুর-শাশুড়ি তথা তার প্রাণপ্রিয় মা-বাবার সাথে করে, তখন তোমার কাছে কেমন লাগে!? তখন কি তোমার কষ্ট লাগে? মনটা খারাপ হয়!? হৃদয়মাঝে তখন কি কোন প্রশান্তি অনুভব করো!? ভাব তো প্রিয়! একটু ভাব ৷ সে সবসময় তার মা-বাবার সেবা-যত্ন করে ৷ অফিস থেকে এসে কিংবা যে কোন ব্যস্ততা শেষে ঘরে ফিরলে, সুযোগ হলে বৃদ্ধ বাবার খোঁজখবর নেয় ৷ কিছু সময় অসুস্থ মায়ের শিউরে বসে থাকে গল্প করে ৷ এটা কি তোমাকে পীড়া দেয়!? এ কারণে তোমার কি বিরক্তি আসে ৷ সে সমসময় তার পিতা-মাতার খোঁজখবর রাখুক, তোমার কাছে কি তা খারাপ লাগে ৷ তুমি কি তা অপছন্দ করো!? কেন? কেন তখন তোমার কেন কষ্ট লাগে!?
একটু ভেবে দেখ তো! তোমার মন খারাপ হওয়া, কষ্ট লাগা কি উচিত!? এটা কি ইনসাফ হবে!? না, কখনো তা উচিত হতে পারে না! ইনসাফ হতে পারে না ৷ তাহলে বলো তো: তোমার সন্তানের কাছে যা তুমি আশা করো, কামনা করো ৷ তোমার স্বামীর কাছে কি তার মা-বাবা তা আশা করতে পারে না, পারবে না!!
মনে রেখ! যদিও সে তোমার স্বামী কিন্তু সে তো তোমার মতো অন্য একজন মায়ের কলিজার টুকরা প্রিয় সন্তান! তাহলে একটু ভেবে দেখবে প্রিয়! তুমি তোমার প্রিয় সন্তানের কাছে যা চাও। যা কামনা করো ৷ তামান্না করো ৷ আর সন্তান এ কাজগুলো করলে তোমার ভাল লাগে ৷ হৃদয়ে প্রশান্তি আসে ৷ আচ্ছা বলো তো: ঐ মা তার সন্তান, মানে তোমার স্বামীর কাছে তো তা-ই চায়..!! তাহলে কি আমি আমরা ঠাণ্ডা মাথায় বিষয়টা নিয়ে একটু ভাবতে পারিনা! একই কাজে দুজনের সাথে দুরকম প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি ৷
এটা কি ইনসাফ হবে? বল প্রিয় বল!
তোমার যা পছন্দ, অন্যের বেলায় কেন হবে তা অপছন্দ!!